পেইড এবং ফ্রি মিলিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসের প্রায় ১০ হাজারটা থিম আছে যেখান থেকে আপনি আপনার ব্লগের জন্য উপযুক্ত থিম খুজে নিতে পারেন। তবে নতুনদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যারা সবে মাত্র ব্লগিং শুরু করেছে তাদের ক্ষেত্রে এই উপযুক্ত নির্বাচন করাটা কিছুটা কঠিন। কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা কোনটা ফ্রি থিম এবং কোনটা পেইড থিম সেই ব্যাপারে কনফিউজড হয়ে থাকে।
যদি উপযুক্ত থিম নির্বাচনের কথা আসে সে ক্ষেত্রে আমি সর্বদা প্রিমিয়াম বা পেইড থিমটাকে প্রাধান্য দিবো। ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি থিমের সুবিধা হল আপনাকে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগে এককালীন কোন নির্দিষ্ট অর্থ পে করতে হয় না। কিন্তু প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমানের অর্থ পে করতে হয় তবে প্রিমিয়াম থিমগুলো প্রকৃতপক্ষে অর্থ প্রদানের যোগ্য।
ব্যক্তিগত অথবা ফান করার উদ্দেশ্যে আপনি যদি কোন ব্লগ চালু করে থাকেন সেক্ষেত্রে ফ্রি থিমটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু যদি আপনি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্লগ চালু করতে চান অথবা ব্লগিং করার ব্যাপারে খুব সিরিয়াস সেক্ষেত্রে প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করাটাই আপনার জন্য অত্যাবশ্যক।
আজকের আর্টিকেলে আমি শেয়ার করবো আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিবেনঃ
১। নিশ ব্লগের সাথে সামঞ্জশ্য রেখেঃ আপনার নিশ ব্লগের সাথে সামঞ্জশ্য রেখে থিম নির্বাচন করুন।এমন যদি হয় আপনার ব্লগ হল টেক বিষয়ক কিন্তু আপনি ফটোগ্রাফি ব্লগের থিম দিয়ে রেখেছেন সেক্ষেত্রে আপনার ভিজিটররা বিভ্রান্ত হয়ে যাবে আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু নিয়ে।
২। সাধারন ডিজাইনঃ মূলত আপনার ব্লগের পোস্ট পড়ার পূর্বে ভিজিটরদের নজর আগে আপনার ব্লগের ডিজাইনের উপর পড়বে এবং আপনার ব্লগের ডিজাইন যদি ভাল মানের হয় তবে পরবর্তি সময়ে ভিজিটররা আপনার ব্লগে আবারও ভিজিট করবে। আপনার ব্লগ যদি সোশ্যাল মিডিয়া, টেক অথবা টিউটোরিয়াল টাইপের হয় সেক্ষেত্রে প্রফেশনাল থিম নির্বাচন করাটা বাঞ্চনীয়। কিন্তু ব্যক্তিগত অথবা ফানের উদ্দেশ্যে খোলা ব্লগের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল থিম ব্যবহার করা দরকার নেই।
৩। এসইও ফ্রেন্ডলিঃ আপনি যখন ব্লগ চালু করবেন তখন মানুষ যাতে ব্লগটি সহজে খুজে পায় সেটা খুব গুরুত্বপূর্ন। সার্চ ইঞ্জিন হল ভাল একটা মাধ্যম যেখান থেকে মানুষ আপনার ব্লগের সাথে পরিচিতি লাভ করবে। আর এটা করার জন্য আপনার এসইও ফ্রেন্ডলি থিম নির্বাচন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
৪। সকল ব্রাউজার সাপোর্ট করেঃ নির্বাচিত থিম যাতে সব ব্রাউজার সাপোর্ট করে সেই বিষয়ে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিবেন। এখনও বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে। তাই এই বিষয়টি অবহেলা করলে চলবে না।
৫। রেস্পন্সিভ ডিজাইনঃ আপনার ভিজিটরা সবাই যে ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে সাইট ভিজিট করবে তা নয়। বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ ভিজিটর মোবাইল অথবা ট্যাব ব্যবহার করে যেকোন সাইট ভিজিট করে। সুতরাং থিম নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে থিমটি সব ডিভাইসে ভালোভাবে কাজ করে কিনা।
৬। ভাল নেভিগেশনঃ নেভিগেশন হল সাইটের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেভিগেশন যাতে ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
৭। অপশন প্যানেলঃ থিমের অপশন প্যানেল এমন হওয়া উচিত যাতে সহজে থিম কাস্টমাইজ করা যায় কোন কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জ্ঞান ছাড়াই।
৮। সাপোর্টঃ যদি আপনার কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজের ভাল জ্ঞান না থাকে সেক্ষেত্রে একজন থিম ডেভলপারের সাহায্য লাগবে ব্লগটাকে সুন্দর করার জন্য। বেশিরভাগ প্রিমিয়াম থিম তাদের কাস্টমারদের এই ধরনের সাপোর্ট দিয়ে থাকে। প্রিমিয়াম থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে থিম ডেভলপারদের লাইফ টাইম সাপোর্ট আছে কিনা সেই বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।
আশা করি আজকের লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
যারা হাতে কলমে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান ডেভসটিম ইনস্টিটিউট তাঁদের জন্য চালু করেছে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ। তিন মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে এসইচটিএমএল, সিএসএস, বেসিক পিএইচপি, পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্সন, এইচটিএমএল টু ওয়ার্ডপ্রেস কনভার্সন এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম অপশন পেজ ডেভেলপমেন্ট শেখানো হবে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে, লোকাল মার্কেটে অর্থ্যাৎ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করার গাইডলাইন তো রয়েছেই।