-------------------------- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ --------------------------
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন।
টেক্সট এডিটর কথাটির সাধারন অর্থ হলো যে এডিটর দিয়ে কোন টেক্সট বা লেখাকে এডিট করা যায় বা কোন কিছু লেখা যায়। কিন্তু আজকে আমি যে টেক্সট এডিটরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো সেটা শুধুমাত্র কোন কিছু লেখা বা এডিট করার জন্য ব্যবহার হয়না। এটা মূলত একটি প্রোগ্রামিং টেক্সট এডিটর। আপনারা অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে নোটপ্যাড++ কিংবা সাবলাইম টেক্সট সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করেছেন। আজকের সফটওয়্যারটিও তাদের মতোই একটি সফটওয়্যার। কিন্তু বিশ্ব র্যাঙ্গিংয়ে বর্তমান সফটওয়্যারটি অন্য সকল এডিটরকে পেছনে ফেলে কয়েক বছর ধরে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে সেরা সফটওয়্যারগুলো খুঁজে পাবার নিমিত্তে আমার যে অভিযান শুরু হয়েছে এটা তারই এক ক্ষুদ্র উপহার। সফটওয়্যার দিয়ে মুলত ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং কতিপয় কিছু প্রোগ্রামিং করা হয়। আজকের টিউনে আমরা এই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু জানার চেষ্টা করবো। এবং সবশেষে সফটওয়্যারটির ফুল ভার্সন আপনাদেরকে ফ্রিতে প্রদান করা হবে। তবে তাই হোক, চলুন শুরু করি-
UltraEdit Overview & Features
আল্ট্রা এডিট সফটওয়্যারটির ফিচার একটা টিউনে বলে শেষ করা যাবেনা। আপনারা যদি সফটওয়্যারটির পরিপূর্ণ ফিচারগুলো জানতে চান তাহলে সফটওয়্যারটির অফিশিয়াল সাইট হতে জেনে নিতে হবে। সফটওয়্যার সম্পূর্ণ ফিচার জানতে এখানে ক্লিক করুন। তবে সফটওয়্যারটির কিছু ফিচার আমি সংক্ষেপে উল্লেখ করছি-
- যেকোন টেক্সট ফাইলকে এডিট করতে পারবেন।
- সফটওয়্যারটিতে রয়েছে উন্নত মানের ফাইন্ড এন্ড রিপ্লেস ফিচার
- সব ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের জন্য কোডিং করতে পারবেন (HTML, PHP, javascript, Perl, C/C++, Python, and virtually any other coding/programming language.)
- ৪ গিগাবাইট পর্যন্ত যেকোন সাইজের ফাইলকে এডিট করতে পারবেন।
- সফটওয়্যারটিতে রয়েছে হেক্স এডিটর
- জেন কোডিং সহ রয়েছে অনেকগুলো প্লাগিন ব্যবহারের সুযোগ।
- উন্নত ইন্টারফেইস, থিম সহ যেকোন কিছু পরিবর্তনের সুযোগ।
- খুব দ্রুত কার্যক্ষম সফটওয়্যার।
- সব কিছু মিলিয়ে প্রায় সহস্রাধিক ফিচার রয়েছে সফটওয়্যারটির। আপনি ব্যবহার করলেই এটার প্রেমে পড়ে যাবেন।
ডাউনলোড UltraEdit ফুল ভার্সন
সফটওয়্যারটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং আপনাদের প্রয়োজনের সাথে ফিচারের সামঞ্জস্য থাকে তাহলে নিচের অফিশিয়াল ডাউনলোড লিংক থেকে সফটওয়্যারটির ৩০দিনের ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোডকৃত ফাইলকে সারাজীবনের জন্য ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি মেডিসিন ফাইলের। সফটওয়্যারটির মেডিসিন ফাইল নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড শেষ হলে সফটওয়্যারটি স্বাভাবিক নিয়মে ইনস্টল করুন এবং ইনস্টলেশন শেষে ওপেন করুন। এখন নিচের চিত্রের মতো আপনাকে সফটওয়্যারটির লেআউট এবং থিম নির্বাচন করতে বলবে। আপনার পছন্দ মতো লেআউট এবং থিম নির্বাচন করে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন।
এবার ফুল ভার্সন করার পালা। ফুল ভার্সন করতে নিচের নির্দেশনা অনুসরন করুন।
ফুল ভার্সন একটিভেশন নির্দেশিকা
যে সফটওয়্যার যতো ভালো সেটার ফুল ভার্সন করার পদ্ধতিটাও ততোটাই জটিল। তবে আমি চেষ্টা করবো কোন প্রকার জটিলতা ছাড়া সফটওয়্যারটিকে ফুল ভার্সন করে দেখাতে। সফটওয়্যারটি ফুল ভার্সন করার প্রত্যেকটি ধাপ আপনারা মনযোগ দিয়ে আগে পড়বেন তারপর নিজেরা করার চেষ্টা করবেন। আশা করি কারও কোন সমস্যা হবে না।
- প্রথমে আপনার পিসির ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে নিন এবং নিচের চিত্রের মতো করে C:\Windows\System32\drivers\etc লোকেশনে থাকা উইন্ডোজ হোস্ট ফাইলে নিচের লাইন দুইটি যুক্ত করে নিন।
হোস্ট ফাইলে কিভাবে কোন কিছু যুক্ত করতে হয় সেটা না জানলে নিচের লিংকে ক্লিক করে আমার টিউনটি দেখে নিন।
উইন্ডোজ হোস্ট ফাইল বৃত্তান্ত – সবার অন্তরালে উইন্ডোজ হোস্ট ফাইল ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রন করুন অনাকাঙ্খিত ওয়েব সাইট ভিজিটিং সহ আপনার পিসির নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস।
- এবার ওপেন করা সফটওয়্যারটিতে নিচের চিত্রের মতো করে Help > Register/Activate বাটনে ক্লিক করুন।
- এবার নিচের মতো একটিভেশন মেনু পপ-আপ হবে। আপনার মনে যা খুশি একটি আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিন। তবে যে আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিবেন সেটা মনে রাখুন কারন পরবর্তিতে এটা কাজে লাগবে। কাজ শেষে একটিভেট বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনি যদি ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে থাকেন তাহলে নিচের চিত্রের মতো একটি এরর আসবে এবং আপনাকে অফলাইন একটিভেশনের জন্য বলা হবে। আপনি কোন চিন্তা ভাবনা না করে অফলাইন একটিভেশন বাটনটি প্রেস করুন।
- এবার নিচের মতো চিত্র দেখতে পাবেন। কিন্তু সেখানে প্রথম চিহিৃত বক্সটি ফাঁকা থাকবে। আপনি আগে একটিভেশন অপশনে যে আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন সেগুলো এখানে ইনপুট করুন। এবং আমার দেওয়া Medicine.exe ফাইলটি এডমিন হিসাবে রান করুন।
- এবার নিচের চিত্রের মতো ইউজার কোড গুলো মেডিসিন ফাইলে বসান এবং কাজ শেষে জেনারেট বাটনে ক্লিক করুন। আপনার অথোরাইজেশন কোড আপনি পেয়ে যাবেন।
- এখন নিচের মতো করে মেডিসিন ফাইলে প্রাপ্ত অথোরাইজেশন কোডগুলো একটিভেশন অপশনে বসিয়ে একটিভেট বাটনে ক্লিক করুন। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
- সবুরে মেওয়া ফলে, এবার নিশ্চয় নিচের চিত্রের মতো সাক্সেসফুল পপ-আপ মেনু দেখতে পাচ্ছেন। কি ভাই, এবার খুশি হয়েছেন তো?
আশা করি আপনারা সবাই সফটওয়্যারটি সফল ভাবে ডাউনলোড করে ফুল ভার্সন হিসাবে ব্যবহার করতে পারছেন। প্রত্যেকটা সফটওয়্যার নিজে টেস্ট করে তারপর শেয়ার করা হয়। কারও কোন সমস্যা হলে একবারের পরিবর্তে কয়েকবার চেষ্টা করুন। অপরের উপর নির্ভর না করে নিজে সব কিছু সমাধানের চেষ্টা করুন। একবার না হলেও বারবার চেষ্টাই সফলতা আসবেই, আর না আসলে সেক্ষেত্রে আমরা তো আছিই, তাইনা?
শেষ কথা
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।