পেপাল কি বাংলাদেশে এসেছে? কিছু কথা

টিউন করেছেনঃ | প্রকাশিত হয়েছেঃ 11:57 PM | টিউন বিভাগঃ
“সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে আসছে পেপাল”
এই নিউজটা ২ বছর আগের (জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারীতে লেখা) এর মাঝে পেপাল নিয়ে কত সভা সেমিনার, কত আলোচনা সমালোচনা, খবরের কাগজে লেখালেখি, এমনকি বেসিসের প্রেসিডেন্ট ফাহিম মাশরুর পেপালের সদরদপ্তরে গিয়ে কথা বার্তা বলে, ছবি তুলেও নিয়ে আসলেন।
পেপাল কি বাংলাদেশে এসেছে?
পেপাল সাইটে গিয়ে দেখলাম এখনো বাংলাদেশ তাদের ড্রপডাউন লিস্টে নেই।
এর মাঝে আরো ১১টি দেশ পেপালের সাথে যুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি নাইজেরিয়া।
এখন পৃথিবীতে মাত্রই হাতে গোনা কয়েকটা দেশে পেপাল নেই।
একই সাথে ইন্টারনেটে মাত্রই হাতে গোনা কয়েকটা ওয়েবসাইট পেপাল ছাড়া বাংলাদেশে পেমেন্ট করে থাকে। (পেওনার/ব্যাংক ডিপোজিট)
বাবলস এর মত লো লেভেলের একটা গেট পেইড টু সাইটেও পেপাল ছাড়া পেমেন্ট করে না।
দেশে পেপাল আসবে –এই খবর আসার অনেক আগেই আমার স্কুলের এক বন্ধু আমাকে পেপালের ব্যাপারে জিজ্ঞ্যেস করেছিল। সে অনলাইনে কাজ করে না, তার একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে। পেপালের মাধ্যমে সে বিদেশি লেনদেন খুব সহজেই করতে পারতো। আমি তাকে বলেছিলাম যে আমাদের দেশে পেপাল আরো ২৫ বছর পরে আসবে। এই কথা বলার ৪ বছর তো হল, আরো ২১ বছর বাকি মাত্র!
পেওনার মাস্টারকার্ড হলো বর্তমানে বাংলাদেশে পেপালের অল্টারনেটিভ।
এই সুবিধা কেবল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলো যেমন ওডেস্ক/ইল্যান্স/ফ্রিল্যান্সার সাইটের অনুকূলেই কাজ করে।
আমার কেন যেন মনে হয় পেওনার আর ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলো যেন একচেটিওভাবে এদেশে টিকে থাকতে পারে, সেজন্যই এদেশে তারা পেপালকে আসতে দিচ্ছে না।
কারন পেপাল আসলে, ইন্টারনেট-টা আর ফ্রিল্যান্সিং এ সীমাবদ্ধ থাকবে না।
সবাই অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবে; ট্রেডিশনাল ব্যাবসায়ীরা বৈদেশিক বানিজ্য করতে পারবে; এপ ডেভলপারেরা বড় বড় লাভজনক এপ বানাতে পারবে; ঘরে বসে মানুষ বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে পারবে; মানুষ ব্যাক্তিগত লেনদেনে পেপাল ব্যবহার করতে পারবে।
এদেশের মানুষকে ওয়েজ লেবার না বানিয়ে বরং পেপাল আর অনলাইন গেটাওয়ে খুলে দিন, মানুষ নিজে থেকেই নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে উৎসাহী হবে।
লাগবে না আপনার ঘরে ঘরে লাখপতি, ফ্রিল্যান্সার ট্রেনিং অথবা ব্যাংক লোন; এদেশে যদি এক এক জন হেনরি ফোর্ড, ওয়ারেন বাফেট, রিচার্ড ব্র্যানসন, মুহম্মদ ইয়নুস, বিল গেটস হন, তাহলে তারা এমনিতেই আরেকটা দেশকে হায়ার করে কাজ করাতে পারেন।
স্যালুট তাদেরকে যারা শুধুমাত্র একটা পেওনার মাস্টারকার্ড এর ওপর ভিত্তি করে, নানা রকম ছল চাতুরি, বুদ্ধি, চেষ্টা করে বাংলাদেশে বসে নানান রকম অনলাইনে বিজনেস করছেন।
আপনাদের সবার, সরকারের কাছ থেকে একটা করে সোনার মেডেল পাওনা আছে।
কিন্তু আপনি মেডেল পাবেন না...
মেডেল তারাই পাবে যারা মার্কেটপ্লেসে ৫,০০০, ১০,০০০, ১৫,০০০ ঘন্টা কাজ করেছে।
বিঃ দ্রঃ “...আমার কেন যেন মনে হয় পেওনার আর ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলো যেন একচেটিওভাবে এদেশে টিকে থাকতে পারে, সেজন্যই এদেশে তারা পেপালকে আসতে দিচ্ছে না।...”
~আমার কাছে এর কোন প্রমান নেই, এটা কেবল আমার কন্সপিরেসি থিউরি, আমার একান্ত চিন্তা ভাবনা।
যেসকল সাইটের কথা উল্লেখ করেছি এখানে,

Previous
Next Post »
Designed by MS Design

Powered by Blogger