টরেন্ট ওয়েবসাইট প্রধানত দুই ধরনের , পাবলিক টরেন্ট ওয়েবসাইট এবং প্রাইভেট টরেন্ট ওয়েবসাইট ।
পাবলিক টরেন্ট ওয়েবসাইট থেকে যে কেউ ডাউনলোড করতে পারে । এই গুলোর সব টরেন্ট ফ্রিলিচ করা যায় । ফ্রিলিচ কি ? ফ্রিলিচ হচ্ছে ফ্রি ডাউনলোড । এসবফ্রিলিচ টরেন্ট ডাউনলোডের জন্য আপনাকে ডাউনলোড শেষের পর বাধ্য হয়ে সিড করতে হবে । আপনি চাইলে সিড করতে পারেন , অথবা নাও করতে পারেন ।
কিন্তু অন্যদিকে প্রাইভেট টরেন্টে আপনি কিন্তু ফ্রিলিচ করতে পারবেন না । আপনি যত ডাউনলোড করছেন সে গুলো প্রাইভেট টরেন্টের ট্র্যাকার হিসাব করতে থাকে । ধরুন আপনি ৩ জিবি সাইজের একটি এইচডি মুভি ডাউনলোড করলেন । তখন ট্র্যাকার আপনার ৩ জিবি কাউন্টে নিবে । ডাউনলোডের পর যখন আপনি সিড করতে থাকবেন তখন আপনার আপলোড হতে থাকবে ফলে তখন আবার আপলোড বাড়তে থাকবে , তখন প্রাইভেট টরেন্টের ট্র্যাকার হিসাব করতে থাকবে আপনি কত আপলোড করলেন ।
এখন প্রশ্ন হতে পারে , Ratio কি ?
আপনি যত পরিমাণ ডাউনলোড করলেন আর যত পরিমাণ আপলোড করলেন তা ভাগ করে যে পয়েন্ট পাওয়া যায় তাই প্রাইভেট টরেন্টের ratio . ধরুন আপনি সেই ৩ জিবি মুভি ডাউনলোড করার পর আপনার ডাউনলোড দাঁড়াল সবমিলিয়ে ৩ জিবিতে । এখন যদি আপনি ৬ জিবি আপলোড করেন তাহলে আপনার ratio হবে ২ আর যদি ১.৫ জিবি আপলোড করেন তাহলে আপনার ratio হবে ০.৫০ তে ।
প্রাইভেট টরেন্টের বিশেষত হচ্ছে , এখানে আপনাকে ratio নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখতে হবে । ratio কতোর মধ্যে রাখতে হবে এটা ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে । বেশির ভাগ প্রাইভেট টরেন্ট ওয়েবসাইটের ratio ০.২৫ থাকা বাধ্যতামূলক ।
বাংলাদেশে বেশ কিছু বছর হলো কিছু লোকাল টরেন্ট চালু হয়েছে । এদের মধ্যে টরেন্টবিডি এবং ক্রেজিএইচডি নাম হয়ত অনেকে শুনেছেন । এসব টরেন্টের বেশির ভাগই BDIX ( বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ ) এর শেয়ার্ড সার্ভারের সাথে যুক্ত ফলে BDIX এর সাথে সংশ্লিষ্ট isp গ্রাহকরা বেশি স্পিড পেয়ে থাকেন । এই স্পীড ৫ এমবিপিএস থেকে ৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে ( isp এর উপর নির্ভর করে ) .
১ । ছোট সাইজের টরেন্ট ডাউনলোডের চেষ্টা করুন
ধরুন ১ জিবি সাইজের একটি মুভি ডাউনলোড করবেন তাহলে আপনার ডাউনলোডের পরিমাণ খুব বেশী খরচ হবে না । আবার যাদের ratio অবস্থা খারাপ তারাও কম সাইজের টরেন্ট ডাউনলোড করার চেষ্টা করবে ফলে আপনার আপলোডও বৃদ্ধি পাবে ।
২। নতুন আপলোড করা টরেন্ট ডাউনলোড করার চেষ্টা করুন
নতুন আপলোড করা কোন মুভি / গেমস / টিভি সিরিজ ডাউনলোড করার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকে । কারন বেশীর ভাগ আপলোড করা টরেন্ট নিজ রিলিজড মুভি বা গেমস হয়ে থাকে ।
৩ । ফ্রিলিচ লুফে নিন !
মাঝে মাঝে প্রাইভেট টরেন্ট গুলো ফ্রিলিচ সুবিধা দিয়ে থাকে । আবার অনেক টরেন্টে ৫০% ফ্রিলিচ সুবিধা থাকে । সেগুলো ডাউনলোড করার চেষ্টা করুন ।
৪। যত বেশী টরেন্ট সিড = তত বেশী সিড বোনাস !
এই পদ্ধতিটা আমার আবিষ্কার :P । আমি যখন নতুন অ্যাকাউন্ট খুলি তখন আমার ratio খুব বাজে অবস্থায় চলে গিয়েছিলো । তখন আমি খুব ছোট সাইজের টরেন্ট ডাউনলোড করে সিড দিতে থাকি । খুব ছোট সাইজ বুঝাতে আমি ৮ - ১০ এমবি সাইজের টরেন্ট গুলো বুঝাচ্ছি । আমি ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার , লাইটশট এবং সেরকম সাইজের ৫০ - ১০০টা টরেন্ট ডাউনলোড করে সিড দিতে থাকি ।
আগেই বলেছি , প্রত্যেকটি টরেন্ট সিড করার জন্য প্রাইভেট টরেন্ট সাইট গুলো ইউজারদের সিড বোনাস দিয়ে থাকে । আপলোড হোক অথবা না হোক , সিড স্ট্যাটাসে থাকলেই আপনি সিড পয়েন্ট পাবেন । ধরুন , একটা ট্র্যাকার একটা টরেন্ট ১ ঘণ্টা সিড করার জন্য ১ সিড পয়েন্ট দেয় । তাহলে ১০০টা টরেন্ট সিড করার জন্য আপনি পাবেন ১০০ সিড ঘণ্টায় । আর দিনে ১০ ঘণ্টা সিড করলে ১০০০ সিড বোনাস ! আর যেহেতু কম সাইজের ডাউনলোড করলাম তাহলে কম ডাউনলোড খরচ হলো । আপনার যখন আপলোড কেনার প্রয়োজন হবে তখন আপনি এই সিড বোনাস ব্যবহার করতে পারবেন ।
৫। বেশী ডাউনলোড হয় এমন টরেন্ট নির্বাচন করুন , কম ডাউনলোড হয় এমন টরেন্ট বর্জন করুন । কারন এগুলো থেকে আপনি আপলোড বেশী করতে পারবেন না ।
৬। শেষ কথা
ট্র্যাকারের সাথে চিট করবেন না , অনেক চিট টুল পাওয়া যায় । এগুলো ব্যবহার করবেন না । তাহলে আপনি ব্যান হতে পারেন । আর যদি ratio ধরে রাখতে ব্যর্থ হোন তাহলে ডোনেট করুন । যত পারেন সিড করুন আর টরেন্ট অ্যাক্টিভ রাখুন ।
ধন্যবাদ !!!!