বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-১৭] :: বাংলাদেশের টপ ৩টি ১৫০সিসি বাইক

টিউন করেছেনঃ | প্রকাশিত হয়েছেঃ 5:26 AM | টিউন বিভাগঃ
বাংলাদেশের বাইক এর ১৭ তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । দেখতে দেখতে অনেকগুলো পর্ব লেখা হয়ে গেল । অনেক সাড়া পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে । এজন্য ধন্যবাদ । আজ আমরা দেখব বাংলাদেশের সেরা ৩ টি ১৫০সিসি বাইক এর একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণণা । মূলত বাংলাদেশে অনেক ১৫০ সিসির বাইকই রয়েছে । এর মধ্যে বিভিন্ন ভিউ থেকে বিভিন্ন মানুষ ইউনিক কোন বাইককে বেছে নেয় । তো , আমার মতে , বিভিন্ন ভিউ থেকে বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি বাইকের মধ্যে আমি রেখেছি ৩ টি বাইককে । বাইক ৩ টি  হল :
1. Yamaha R15
2. Hero Honda Hunk
1. TVS Apache RTR 150
এখন , আমার মতে এই তিনটি বাইক বিভিন্ন ভিউ থেকে দেখলে বাংলাদেশের সেরা বাইকগুলোর ভেতরই পড়বে । তো আপনাদের অ্যরকম মতামতও থাকতে পারে । সেটা আপনারা শেয়ার করতে পারেন । তো , চলুন , আজ আমরা এই ৩ টি বাইক কেন সেরা বা কীইবা এদের বিশেষ বৈশিষ্ট তা দেখে নিই ।

৩. TVS Apache RTR 150 :

বাইকটি বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষেরই নয়নের মনি হয়ে গেছে এর পারফরমেন্সের দ্বারা । বাইকটির সুন্দর ইউনিক লুক , হিংস্র একটা ভাব নেওয়া হেডলাইট , ডিজিটাল স্পীডোমিটার , সুন্দর টেইল ল্যাম্প , ফুয়েল ট্যাঙ্কের সাথে সুন্দর পাখনা সহ সবকিছু মিলিয়ে বাইকটি একটা চরম লুক নিয়েছে । শুধুই লুকিং নয় , পারফরমেন্সের দিক থেকেও বাইকটি বস । এটার একটা ১৫০ সিসির ইন্জিন রয়েছে যেটা ১৪ বিএইচপি শক্তি ও ১২.২ N/m  টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । বাইকটি ৪.১৭ সেকেন্ডে ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে সক্ষম । ফলে এক্ষেত্রে বাইকটি বাংলাদেশের যেকোন বাইক থেকে এগিয়ে আছে । বাইকটির টপ স্পীড হল ১২০+ কিমি./ঘন্টা । এটা শহরে ১ লিটার জ্বালানীতে ৩৫-৪০ ও হাইওয়েতে ৫০-৫৫ কিলোমিটার যেতে পারে ।
বাইকটির চাকাগুলো টিউবলেস ফলে লিক হবার কোন সম্ভাবনা নেই এবং চাকার শেপটা দারুণ যেটা আপনাকে কোন অবস্থাতেই নীচে পড়তে দেবে না । এবং বাইকটি ড্রিফট রাইডিং এবং স্টান্ট এর জন্যও পারফেক্ট । এর সামনের চাকায় একটি সুন্দর ডিস্কব্রেক ও পেছনের চাকায় একটি ড্রাম ব্রেক রয়েছে যেটা ১৫০ এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাস্তার জন্য পারফেক্ট ।
বাইকটির সাউন্ডও খুবই সুন্দর এবং এটা খুব হাই স্পীডেও কোন নয়েজ সৃষ্টি করে না বা ভাইব্রেট হয় না ।
এসব বৈশিষ্ঠ বিবেচনা করে আমরা বলতে পারি এই বাইকটি বাংলাদেশের সেরা একটা ১৫০ সিসির বাইক ।

২. Hero Honda Hunk :

হিরো হোন্ডা হাঙ্ক বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে বহুল প্রচলিত একটা বাইক এবং এর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই । আমার মনে হয় বাংলাদেশের সবথেকে কমফর্টেবল ১৫০ সিসির বাইক হল হিরো হোন্ডা হাঙ্ক । বাইকটি হিরো হোন্ডার একটা মার্কেট কাপানো বাইক । এটার লুক এতই সুন্দর ও রুচিশীল যে বর্তমানে অন্যান্য বাইকগুলো এর স্টাইল ফলো করা শুরু করেছে । এটার ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হেডলাইট আপনাকে রাতে সূর্যের আলোর মত ঝলকানি দেবে এবং দিনের বেলায় সূর্যের আলো রিফ্লেক্ট করবে ।এটার মাসকিউলার বডি ও সুন্দর ফুয়েল ট্যাঙ্ক এর লুকটাকে আরও ফুটিয়ে তুলেছে ।
এটার ইন্জিন হল ১৫০ সিসি এয়ার কুলড । এয়ার কুলড ইন্জিন হলেও এটা লং ড্রাইভে ও হাই স্পীডেও কোন সমস্যা করে না বরং বাইটি লং ড্রাইভের জন্য খুবই উপযুক্ত । এর ইন্জিনটি ১৪.২ বিএইচপি শক্তি ও ১২.৮ N/m  টর্ক উৎপন্ন করতে পারে যেটা খুবই শক্তিশালী । এটার পিকআপ টা হল সবথেকে ভাল এবং খুব কম সময়ে বেশী স্পীড তোলায় এর কোন জুড়ি নেই । এবং অনেক বেশী স্পীডেও এটা কোনরকম ভাইব্রেট করে না । এর আরেকটা সবথেকে বড় সুবিধা হল এর সাউন্ড । এটি মিডিয়াম স্পিডে তেমন কোন সাউন্ডই ক্রিয়েট করে না এবং এটার্ উপর রাইড করলে আপনি এর সাউন্ড শুনে আরও স্পীডে রাইড করতে চাইবেন ।
বাইকটির ব্যাকসীটটাও খুবই আরামদায়ক এবং ২ জন বসার জন্য বাইকটি একদম পারফেক্ট । বাইকটির সামনে ও পেছনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে যেটা আপনাকে ডায়নামিক কন্ট্রোল এনে দেবে । অবশ্য বৃষ্টির দিনে পেছনের চাকার ডিস্ক ব্রেক কখনও কখনও বিপদজনক হতে পারে । তবে এর ব্রেকিং সিস্টেম আপনাকে ৮০ কিমি./ঘন্টা থেকে ৩৫ মিটারের মধ্যেই থামিয়ে দেবে ।
বাইকটির টপ স্পীড হল ১২০+ কিমি./ঘন্টা এবং এটা ১ লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার যায় । বাইকটি মূলত লং ড্রাইভ ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় চলার জন্য বেস্ট এবং এটা এর আরামদায়ক সিটিং পজিশন ও ইনস্ট্যান্ট পিকআপ স্মুথ রাইডিং ইত্যাদির জন্য বাংলাদেশের সেরা ১৫০ সিসির বাইকের মধ্যে একটি অন্যতম বাইক ।

১. Yamaha R15 :

এটা বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সেরা একটা রেসিং বাইক এবং বলা যায় এটাই একমাত্র ভাল রেসিং বাইক ।  এটা নিয়ে বাইক প্রেমীদের কৌতুহলের শেষ নেই । কত মানুষ যে এর উপর একবার চড়ার জন্য মুখিয়ে বসে আছে সেটা আর বলার কোন অপেক্ষা রাখে না ।
বাইকটির সুন্দর স্টাইলিশ হেডলাইট ও ফ্রন্ট এবং এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের স্টাইল , বসার সিট , পেছনের বিশাল উচু বসার সিট , সুন্দর টেইল লাইট সবকিছূ মিলিয়ে বাইকটিকে একটা চরম রেসিং লুক দিয়েছে । এটার হ্যান্ডেলিং সিস্টেমটা আমার সবথেকে ভাল লাগে । এত সুন্দর হ্যান্ডেলিং সিস্টেম আমি আর কোন বাইকে দেখিনি । এটার ডিজিটাল স্পীডোমিটার বাইকটিকে আরও সুন্দর একটা লুক দিয়েছে । দেখলেই যেন মনে হয় চরম গতিতে ছুটে চলার জন্য প্রস্তুত বাইকটি ।
বাইকটিতে একটা ১৫০ সিসির লিকুইড কুলড ইন্জিন রয়েছে যেটা অত্যান্ত হাইস্পীডে ও অনেক লং রোড রাইডিংএর পরও বাইকের ইন্জিনটিকে গরম হতে দেয় না । এই বাইকটির ইন্জিনকে বাংলাদেশের যেকোন ১৫০ সিসির ইন্জিনের থেকে এগিযে রাখা যায় । এটা যেমন দ্রুত স্পীড তুলতে পারে বাংলাদেশের কোন বাইক এত দ্রুত এক্সেলেরেট করতে পারে বলে আমরা মনে হয় না । এটা ৬০ কিমি স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৪.৮৯ সেকেন্ড এবং বাইকটির টপ স্পীড হল ১৩০ কিমি./ঘন্টা । বাইকটি সর্বোচ্চ ১৬ বিএইচপি শক্তি ও ১৫ N/m টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাইকটির ইন্জিনও বেশ পাওয়ারফুল এবং এরকম কনফিগারেশনএর ইন্জিন বাংলাদেশে আর নেই । এর ইন্জিনে একটি ৬ স্পীড গিয়ারবক্স রয়েছে ।




বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কে ১২ লিটার জ্বালানী ধরে এবং এটি ১ লিটার জ্বালানীতে গড়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার যেতে পারে । বাইকটির চাকাগুলো টিউবলেস ও রেসিং ও হাইস্পীডে টার্ণিংএর জন্য পারফেক্ট । এর সামনের ও পেছনের দুই চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক রয়েছে যেটা আপনাকে বাইকটিকে ৬০কিমি./ঘন্টা স্পীড থেকে মাত্র ১৮ মিটারের মধ্যেই থামাতে সাহায্য করবে ।
এটার বসার সিটটা খুবই কমফরটেবল এবং এটার পেছনের বসার সিটটাও খুবই সুন্দর ও স্টাইলিশ । আপনার পেছনে কেউ বসে তাকলে আপনার সেটা মাথায়ই থাকবে না যে একজন আাপনার পেছনের সীটে বসে রয়েছে ।
সব মিলিয়ে খুবই কুইক পিকআপ , সুন্দর লুকিং , বেস্ট ব্র্রেকিং সিস্টেম , হাইস্পীডে সুপার ব্যালান্স প্রভৃতি মিলিয়ে বাইকটিকে বাংলাদেশের টপ ১৫০ সিসির বাইকের মধ্যে টপে নিয়ে গেছে ।
বাংলাদেশের টপ ১২৫ ও টপ ১০০ সিসির বাইক সম্পর্কে জানতে ভিজি করুন bikebd.com এ ।
বাংলাদেশের বাইক সম্পর্কে তথ্য ও লেটেস্ট আপডেট পেতে চোখ রাখুন bikebd.com এ । এবং বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের প্রাইস সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন Motorcycle Price in Bangladesh

Previous
Next Post »
Designed by MS Design

Powered by Blogger