-------------------------- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ --------------------------
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং পহেলা ফাল্গুন তথা বসন্তের নবজাগরনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন ।
পিসিতে আমরা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার যা বলেন না কেন এগুলো কি কারনে ব্যবহার করি জানেন? এগুলো আমরা এ কারনেই ব্যবহার করি কারন এগুলো আমাদের সময় বাঁচায় এবং কম সময়ে অধিক কাজ করতে সহযোগিতা করে। আমরা সব সময় কাজের জন্য সহজ ক্ষেত্রটাই খুঁজি। তাই সব কিছুকে সহজ করতেই বরাবরের মতো আমার আগমন। আজ আমি আপনাদের যে বিষয়টা জানাতে চাই সেটা হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু বলতে লজ্জা নেই যে আমি নিজেই বিষয়টা ২দিন আগে জেনেছি। কয়েকজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করাতে তারা যখন উত্তর দিতে পারেনি তখনি টিউনটি করার চিন্তুা মাথায় আসে। আশা করি অভিজ্ঞরা বিষয়টা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখবেন।
টিউনের শিরোনাম দেখেই হয়তো আপনারা টিউনের বিষয়বস্তু বুঝতে পারছেন। যারা বুঝতে পারেনটি তাদের জন্য আমি বিষয়টা অল্প-বিস্তর বর্ণনা করছি। আমরা যখন প্রতিদিনের রুটিন মাফিক পিসির সামনে ইন্টারনেট চালাতে বসি তখন ধারাবাহিক ভাবে যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলো হলো- ব্রাউজার ওপেন করা, এড্রেসবারে সাইটের এড্রেস টাইপ করা, নতুন ট্যাবে বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করা। যদি এরকম কিছু হতো যে একেকটা সাইটকে আমরা ডেস্কটপ থেকেই অ্যাপ্লিকেশনের মতো ব্যবহার করতে পারতেছি তাহলে কেমন হতো? আজকের টিউনে আপনারা এটাই শিখতে পারবেন।
যেভাবে তৈরী করবেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করার জন্য আপনার যে জিনিসটা প্রয়োজন হবে সেটা হলো আমাদের সকলের সুপরিচিত ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম। গুগল ক্রোমের সাহায্যেই আপনি অনায়াসে মাত্র কয়েকটি ক্লিকের সাহায্যে কোন প্রকার এক্সটেনশনের সাহায্য ছাড়া গুগল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন। যাদের কাছে গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি নেই তারা কষ্ট করে নিচের ডাউনলোড লিংক থেকে গুগল ক্রোমের লেটেস্ট ভার্সনটি আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিন এবং ডাউনলোড শেষে অবশ্যই সেটাকে ইনস্টল করে নিবেন। আর যাদের আছে তাদের তো আছেই, সো নো চিন্তা।
আপনার গুগল ক্রোম ব্রাউজারটিকে এবার ওপেন করুন এবং যে সাইটটিকে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানাতে চান সেটাতে প্রবেশ করুন। যেমন আমি ফেসবুকে প্রবেশ করেছি। এবার নিচের চিত্রে দেখানো অপশনে ক্লিক করুন এবং More Tools অপশন থেকে Create Application Shortcuts অপশনে ক্লিক করুন।
নিশ্চয় নিচের চিত্রের মতো অপশন দেখতে পাচ্ছেন। আপনার অ্যাপ্লিকেশন টিকে কোথায় কোথায় থেকে ব্যবহার করতে চান সেটা নির্বাচন করে Create বাটনে প্রেস করলেই আপনার কাঙ্খিত স্থানে পেয়ে যাবেন অ্যাপ্লিকেশন শর্টকাট।
কেন পেইজকে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানালাম?
ওয়েব পেইজ বা সাইটকে হয়তো আপনারা ইতিমধ্যেই ওযেব অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে তৈরী করে ফেলেছেন এবং এখন হয়তো ভাবছেন এটার সুবিধা গুলো কী হবে আর কেনই বা এটা করলাম? চলুন তাহলে খুব সংক্ষেপে আমি কিছু সুবিধার কথা আপনার বলছি-
- কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া শুধুমাত্র ডেস্কটপ থেকে আপনার কাঙ্খিত সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
- একই সাথে ফেসবুক বা ইমেইলের একাধিক আইডি ব্রাউজারে ব্যবহার করা না গেলেও আপনি ওয়েব অ্যাপ্রিকেশন তৈরীর মাধ্যমে এক সাথে আপনার ইচ্ছে মতো অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করতে পারবেন।
- বারবার এড্রেস লেখার হাত থেকে পাবেন চিরমুক্তি। তাছাড়াও আরো রয়েছে অনেক সুবিধা যা আপনিই পারবেন উন্মোক্ত করতে। তবে চলুন কিছু ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের চিত্র দেখে নেই।
আশা করি টিউনে উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয় আপনারা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং আপনাদের বাস্তব জীবনে এটা ব্যবহার করে উপকৃত হবেন। টিউনের শেষ মুহুর্তে আপনাদের কাছে অনুরোধ হলো, আমার টিউন বা টেকটিউনসের যেকোন টিউন থেকে যা কিছু শিখতে পারবেন সেটা অপরকে জানাতে দ্বিধা করবেন না। আপনাদের অনেকের হয়তো টিউন করার মতো আইডি নেই কিন্তু নিজের জ্ঞানকে আপনার চারপাশের মানুষগুলোর মাঝে ছড়ানোর তো সুযোগ রয়েছে। যতোটুকু সুযোগ আমাদের রয়েছে ততোটুকুকেই ব্যবহার করা কি বুদ্ধিমানের কাজ না?
শেষ কথা
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর আপনাদের যাদের টেকটিউনসে একাউন্ট নেই তারা আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ লিংক থেকে আমার টিউনে কমেন্ট করতে পারবেন। পেজে লাইক দিয়ে আমার সকল টিউন বিষয়ে আপডেট থাকুন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।